শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১২

"অসমাপ্ত প্রতিক্ষা"

এই গল্পটা সোনিয়া আর শিহাবের। সোনিয়া ছিল স্বপ্নে বিভর খুব সাধারন একটা মেয়ে। তার বাবা সার্ধের মাঝে মেয়ের কোন চাওয়া অপূর্ন থাকতে দেননি কখনো। মায়ের সাথে তেমন কোন আবেগের কথা শেয়ার করতে পারত না,কোথায় যেন একটা Gap ছিল।তার কারন হয়ত একটাই ছিল মা সব সময় চাইত সোনিয়াকে সামনে রাখতে। স্কুল জীবন শেষ করে কেবল কলেজ জীবনে পা দিয়েছে সোনিয়া । এই সময় তার জীবনে আসে স্বপ্ন।ধিরা ধিরে সব প্রতিস্রুতিকে মিথ্যা করে স্বপ্ন সোনিয়ার জীবনের স্বপ্নই রয়ে যায়,পুর্নতা পায় না। এরপর ধিরে ধিরে পরিবর্তন হয়ে যায় সোনিয়ার জীবন। এ যেন ছিল নিজেকে বাচিয়ে রাখার জন্য নিজের সাথে যুদ্ধ। এমন করেই কেটে যায় ৪ বছর। সোনিয়া পারে না তার জীবনে আর কাউওকে আনতে।হঠাৎ ফেসবুকে পরিচয় হয় শিহাবের সাথে। ১ম দিকে মাঝে মাঝে Chat করা হত।কিছু দিন পর সব সময় হত।এক দিন শিহাব সোনিয়ার ফোন নাম্বার চায়,খুব ভাল বন্ধু হয় যায়। সোনিয়া তার জীবনের সব কথা বলে শিহাবকে।সোনিয়ার মনে হয় শিহাব যেন সবার থেকে আলাদা। শিহাবের সব কথা সোনিয়াকে আবেগি করে।বন্ধুতর সম্পর্ক পেরিয়ে শিহাব একদিন সোনিয়াকে প্রস্তাব করে GRILFRIENDএর জন্য নয় ,বৌ হবার জন্য।সোনিয়া অনেক বুঝায় ফেসবুকে ভালবাসা হতে পারে না শিহাব সোনিয়াকে বলে ও যদি চায় এখনি বিয়ে করবে।শিহাবের কথায় সোনিয়া কিছু না ভেবে বিয়েতে রাজি হয়। অই দিন ওরা আল্লাহকে মেনে Phone এ বিয়ে করে।খুব ভাল চলতে থাকে ওদের সম্পর্ক।সোনিয়া ধিরে ধিরে ভালবাসা খুজে পায়।জিবনের নতুন মানে খুজে পায় সোনিয়া ।স্বামী হিসাবে মনে প্রানে মেনে নেয় শিহাবকে,পাগলের মত ভালবাসতে থাকে শিহাবকে।দেখতে দেখতে ২মাস পেরিয়ে যায়। একদিন শিহাব সোনিয়াকে কিছু না জানিয়ে সোনিয়াকে দেখতে যায় সোনিয়ার কলেজে। দূর থেকে সোনিয়াকে দেখে শিহাব Fb তে যতটা ভাল লেগেছিল ততটা সুন্দর না সোনিয়া ,তাই কিছু না বলে চলে যায়। এর পর Phone Off রাখে।সোনিয়া কলেজ থেকে ফিরে বার বার Try করে Phone Off.এভাবে কেটে যায় ২ দিন,তবু পাগলের মত Try করে।Fb তে এস,এম,এস করে।নীর আসে কিন্তু রিপ্লে দেয় না।শিহাবের বন্ধুর কাছ থেকে শিহাবের নতুন নাম্বার collect করে সোনিয়া ।phone দেয় শিহাব ধরে না। এর পর শিহাব সোনিয়ার এক বান্ধুবীকে জানায় সোনিয়াকে তার ভাল লাগে নি, তার পরিবার সোনিয়াকে মেনে নিবে না।শিহাবের বন্ধুর সামনে সোনিয়াকে নিয়ে যেতে খারাপ লাগবে। সোনিয়া কথা গুলো শুনে অনেক কষ্ট পায়।তবু সামলে নেয় নিজেকে,লুকিয়া রাখে নিজেকে বন্ধুদের কাছ থকে।শিহাব সাথে যোগাযোগ করতে বারন করে শিহাব । সোনিয়া শিহাবকে কথা দেয় কখন যোগাযগ করবে না।তবু অপেক্ষা করে আর ভাবে তার ভালবাসার তানে ফিরে আসবে শিহাব । রাতে ঘুমের ঔষুধ খেলে ঘুম আসে না সোনিয়া ।কেটে যায় ২মাস। শিহাব আসে না।নিজের চেহারা কে ঘৃণা করতে শু্রু করা সে।জীবনের প্রতি ঘৃণা জন্মাতে থাকে । তার মা বাবা কে কষ্টের কথা বলতে পারে না।কেটে যায় আরো কিছ দিন, সে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে তার 1st prof exam চলে আসে।সোনিয়া exam দিতে পারে না,sleeping pill খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছিল। এদিকে মেয়ে Doctor হবে মা বাবার স্বপ্ন। সোনিয়া বেচে থাকার কোন অর্থ খুজে পায় না। সোনিয়া তার নামের পাশে শুধু শিহাবের নামটা দেখতে চেয়েছিল। বাচতে হলে শিহাবকে ভুলে যেতে হত,আর শিহাবকে ভুলতে হলে শিহাবকে Hate করতে হত।কিন্তু নীরকে এত ভালবাসত যে শিহাবকে Hate করার কথা কল্পনাই করতে পারত না।আর সে যে শিহাবকে মরনের আগ পর্যন্ত স্বামী মেনেছে। সোনিয়ার ভালবাসা যে বাজ্জিক সৌন্দর্যর কাছে হেরে যাওয়া সস্থা ভালবাসা ছিলনা। সোনিয়ার জীবনে নীর থেকে গেছে অস্মাপ্ত প্রতিক্ষা হয়ে। অবশেষে সোনিয়া suicide করে।হয়ত এতে নীরের ক্ষতি হয়নি ক্ষতি হয়েছে সোনিয়ার পরিবারের।এক মাত্র মেয়ে কে হারিয়ে মা বাবা পাগল প্রায়। সোনিয়া মা বাবাকে অনেক ভালবাসত ,তবু তাদের ছেড়ে চলে যেতে হল। সোনিয়া সহ্য করতে পারেনি তার ভালবাসার অপমান...।। গল্পটি সোনিয়ার ডায়েরিতে লিখা ছিল,তার বন্ধুর দ্বারা প্রকাশ করা হল।। আসা করি কেউ বাজে কমেন্ড করবেন না...।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন