শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১২

< চাওয়া পাওয়া

যে গল্পে থাকবে একটা পাগল ছেলে। যার জীবনে উচ্চাকাংখা বলে কিছুই নেই। যে বর্ষাকালে বারান্দায় প্রিয়জনের সাথে বসে টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনতে চায়। পরীক্ষা ফেলে বৃষ্টিতে ভিজতে যায়। মাঝে মাঝেই বাড়ি থেকে পালিয়ে কোথায় চলে যায় কেউ জানে না। 
আর থাকবে একটা মেয়ে, অতি সাধারন। ছেলেটা ভীষন ভালবাসবে মেয়েটাকে। যে ভালবাসা কখোনো কিছু দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। আর মেয়েটা ? মেয়েদের মন কবে কে বুঝতে পেরেছ? সে কি চায় নিজেও তা জানবে না।

জান...ি এই গল্পের পরিনতি ভাল হবে না। তবুও ছেলেটা গল্পটা এগিয়ে নিতে চাইবে। মেয়েটা কি তার সঙ্গ দেবে ? অবশ্যই দিবে। কারন মেয়েটাও যে ভালবাসে ছেলেটাকে। মেয়েটা চায় তার ভালবাসা প্রকাশ করতে। আর ছেলেটা চায় ভালবাসা হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে। মুখের কথা দিয়ে নয়। ছেলেটা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না, “দিনের মধ্যে হাজার বার ভালবাসি না বললে কি হয়? ভালবাসা কি কমে যায় ?” কিন্তু মেয়েটা বুঝতে চায় না। সারাক্ষণ অপেক্ষায় থাকে। অন্তত একবারের জন্য হলেও ছেলেটা তাকে বলুক। বলুক, “ভালবাসি, শুধুই তোমাকে।“ ছেলেটার মুখের এই ছোট্ট বাক্যটাই তার সকল প্রেরণা। তাইতো সকাল দুপুর সন্ধা নেই ফোনের পর ফোন দিয়ে যায়। শুধু একবার ভালবাসি শোনার অপেক্ষায়।

দুইজনের অনুভুতি, দুই জনের চাওয়া পাওয়া সবই ভিন্ন। তারপরও গল্পটা এগিয়ে চলে। হাসি, কান্না, আনন্দ, ব্যাথা-বেদনার মিশ্রনে।

এটা একটা পাগল ছেলের গল্প। পাগলামি না করলে কি চলে? শুরু হয় তার পাগলামী। হটাৎ করেই সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মেয়েটার সাথে। “ভালবাসি ভালবাসি বলে চিৎকার করাটা তার লোক দেখানো মেকি মনে হয়।“ যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে কি হবে, তার প্রতিটা স্বপ্ন জুড়ে থাকে মেয়েটা। তার প্রতিটা কাজের প্রেরণা হয়ে থাকে মেয়েটা। তার অনুভুতি জুড়ে তার অস্তিত্ব জুড়ে শুধু সেই মেয়েটা আর মেয়েটা। আর মেয়েটার কি খবর? ছেলেটাকে হাড়িয়ে সে পাগল প্রায়। খায় না ঘুমায় না এমন কি বেঁচে থাকতেও চায় না। তবুও বেঁচে থাকতে হয়। জীবনের প্রয়োজনে।

সময় গড়িয়ে যায়। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। ছেলেটা ভুলতে পারে না মেয়েটাকে। তাকে নিয়েই ভাবে। তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখে। তারপর?

না, এটা একটা গল্প। বাস্তব কিছু নয়। গল্পের মেয়েরা একটু অন্য রকম হয়। তাই মেয়েটা ছেলেটাকে আবার ফোন করে। কথা হয় দুজনার। তারা ভুলে যায় মাঝখানে কয়েক বছর পার হয়ে গেছে। জীবন থেকে তারা হাড়িয়ে ফেলেছে অনেক মুল্যবান সময়। সেই সময়ের প্রয়োজনে ছেলেটা হাড়িয়ে ফেলেছে তার ভালবাসা। হাড়িয়ে ফেলেছে তার প্রানের প্রিয়াকে। মেয়েটা আর তার নেই। বিয়ে করেছে তার পছন্দের ছেলেটাকে। যে তার খবর নেয়। দিনের মধ্যে হাজার বার ভালবাসি ভালবাসি বলে তার পায়ে লুটায়।

ছেলেটার আকাশে আজ মেঘের ঘনঘটা। যখন তখন বৃষ্টি নামে। তার এলোমেলো জীবনটা আরো এলোমেলো হয়ে যায়। তবুও সে মেয়েটার ভাল চায়। চাইবে না কেন, দোষটাতো মেয়েটার না। সেই-তো যোগাযোগ বন্ধ করেছিল। নিজের দোষে নিজেকে ছাড়া আর কাউকে তো শাস্তি দেয়া যায় না। তাইতো নতুন করে নতুন ভাবে বাঁচতে চায় সে।

যেহেতু এটা গল্প। তাই শেষ হয়েও শেষ হয় না। কোন একদিন গভীর রাতে ছেলেটার ফোন বেজে ওঠে। রিসিভ করতেই সে শুধু কান্নার শব্দ শুনতে পায়। মেয়েটা কাঁদছে। কাঁদছে তো কাঁদছেই। কান্না জড়ানো কন্ঠেই মেয়েটা বলে, “আমি জানি আমার ফেরার পথ নেই। তবু একটা কথা বলতে চাই। আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি। শুধুই তোমাকে। আর কাউকে নয়। কোন দিন কাউকে বাসতেও পারব না।“ ফোন কেটে যায়। একাকী ছেলেটা জেগে থাকে। দু চোখে বৃষ্টি নামে। সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, যা হবার তাই হবে। এভাবে কষ্ট পাওয়ার মানে হয় না। কথা বলে মেয়েটার সাথে। মেয়েটা সাড়া দেয় আগের মত। দুজন দুজনকে পেতে চায় আপন করে। কিন্তু সমাজ ?

মেয়েটাই এগিয়ে আসে এর সমাধানে। সে বিয়ে করেছে ঠিক। তবে একদিনও স্বামীর ঘর করেনি। সে তালাক দিয়ে দিবে স্বামীকে। তারপর দুজন পালিয়ে যাবে। ঘর পালানো ছেলেটার কাছে কাজটা সহজই মনে হয়।

তারপর? তার আর পর নেই। ছেলেটা অপেক্ষায় থাকে মেয়েটার। মেয়েটা ফোন দেয় না। ছেলেটা ফোন দেয়। মেয়েটা ফোন ধরে না। ছেলেটা আবার ফোন দেয়। মেয়েটা ধরে না। ধরে না………………!

গল্পটা শেষ। ছেলেটার সাথে মেয়েটার আর কোনদিন দেখা হয় নি। হয়ত কোনদিন হবেও না। হয়ত মেয়েটা তার স্বামী সংসার নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু মাঝরাতে মেয়েটার বলা একটা বাক্য ছেলেটাকে আজ পাগল করে দিয়েছে। আজও তার কানে বাজে, “আমি জানি আমার ফেরার পথ নেই। তবু একটা কথা বলতে চাই। আমি তোমাকে ভালবাসি। শুধুই তোমাকে.... ♥
আজ আমি একা বড় একা...
তুমি কি জানো এখনো আমি রাত জাগি...?
তবে তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখা নয়...আমি রাত জাগি তোমার স্মৃতির জোছনায়...
ভেবেছি চলে যাবো দূর অজানায়...
কেনো জানি এই পৃথিবীর মানুষ গুলো ছাড়ে না আমায়...
তবুও জেনে রেখো আমি এখনো পথ চেয়ে থাকি “তোমার স্বপ্নের অপেক্ষায়”...!
হে দয়াময় হয় তো বা আমি প্রদর্শনে ব্যার্থ
কিন্তু সেব চেয়ে বেশী ভালবাসি তোমাকে

"অসমাপ্ত প্রতিক্ষা"

এই গল্পটা সোনিয়া আর শিহাবের। সোনিয়া ছিল স্বপ্নে বিভর খুব সাধারন একটা মেয়ে। তার বাবা সার্ধের মাঝে মেয়ের কোন চাওয়া অপূর্ন থাকতে দেননি কখনো। মায়ের সাথে তেমন কোন আবেগের কথা শেয়ার করতে পারত না,কোথায় যেন একটা Gap ছিল।তার কারন হয়ত একটাই ছিল মা সব সময় চাইত সোনিয়াকে সামনে রাখতে। স্কুল জীবন শেষ করে কেবল কলেজ জীবনে পা দিয়েছে সোনিয়া । এই সময় তার জীবনে আসে স্বপ্ন।ধিরা ধিরে সব প্রতিস্রুতিকে মিথ্যা করে স্বপ্ন সোনিয়ার জীবনের স্বপ্নই রয়ে যায়,পুর্নতা পায় না। এরপর ধিরে ধিরে পরিবর্তন হয়ে যায় সোনিয়ার জীবন। এ যেন ছিল নিজেকে বাচিয়ে রাখার জন্য নিজের সাথে যুদ্ধ। এমন করেই কেটে যায় ৪ বছর। সোনিয়া পারে না তার জীবনে আর কাউওকে আনতে।হঠাৎ ফেসবুকে পরিচয় হয় শিহাবের সাথে। ১ম দিকে মাঝে মাঝে Chat করা হত।কিছু দিন পর সব সময় হত।এক দিন শিহাব সোনিয়ার ফোন নাম্বার চায়,খুব ভাল বন্ধু হয় যায়। সোনিয়া তার জীবনের সব কথা বলে শিহাবকে।সোনিয়ার মনে হয় শিহাব যেন সবার থেকে আলাদা। শিহাবের সব কথা সোনিয়াকে আবেগি করে।বন্ধুতর সম্পর্ক পেরিয়ে শিহাব একদিন সোনিয়াকে প্রস্তাব করে GRILFRIENDএর জন্য নয় ,বৌ হবার জন্য।সোনিয়া অনেক বুঝায় ফেসবুকে ভালবাসা হতে পারে না শিহাব সোনিয়াকে বলে ও যদি চায় এখনি বিয়ে করবে।শিহাবের কথায় সোনিয়া কিছু না ভেবে বিয়েতে রাজি হয়। অই দিন ওরা আল্লাহকে মেনে Phone এ বিয়ে করে।খুব ভাল চলতে থাকে ওদের সম্পর্ক।সোনিয়া ধিরে ধিরে ভালবাসা খুজে পায়।জিবনের নতুন মানে খুজে পায় সোনিয়া ।স্বামী হিসাবে মনে প্রানে মেনে নেয় শিহাবকে,পাগলের মত ভালবাসতে থাকে শিহাবকে।দেখতে দেখতে ২মাস পেরিয়ে যায়। একদিন শিহাব সোনিয়াকে কিছু না জানিয়ে সোনিয়াকে দেখতে যায় সোনিয়ার কলেজে। দূর থেকে সোনিয়াকে দেখে শিহাব Fb তে যতটা ভাল লেগেছিল ততটা সুন্দর না সোনিয়া ,তাই কিছু না বলে চলে যায়। এর পর Phone Off রাখে।সোনিয়া কলেজ থেকে ফিরে বার বার Try করে Phone Off.এভাবে কেটে যায় ২ দিন,তবু পাগলের মত Try করে।Fb তে এস,এম,এস করে।নীর আসে কিন্তু রিপ্লে দেয় না।শিহাবের বন্ধুর কাছ থেকে শিহাবের নতুন নাম্বার collect করে সোনিয়া ।phone দেয় শিহাব ধরে না। এর পর শিহাব সোনিয়ার এক বান্ধুবীকে জানায় সোনিয়াকে তার ভাল লাগে নি, তার পরিবার সোনিয়াকে মেনে নিবে না।শিহাবের বন্ধুর সামনে সোনিয়াকে নিয়ে যেতে খারাপ লাগবে। সোনিয়া কথা গুলো শুনে অনেক কষ্ট পায়।তবু সামলে নেয় নিজেকে,লুকিয়া রাখে নিজেকে বন্ধুদের কাছ থকে।শিহাব সাথে যোগাযোগ করতে বারন করে শিহাব । সোনিয়া শিহাবকে কথা দেয় কখন যোগাযগ করবে না।তবু অপেক্ষা করে আর ভাবে তার ভালবাসার তানে ফিরে আসবে শিহাব । রাতে ঘুমের ঔষুধ খেলে ঘুম আসে না সোনিয়া ।কেটে যায় ২মাস। শিহাব আসে না।নিজের চেহারা কে ঘৃণা করতে শু্রু করা সে।জীবনের প্রতি ঘৃণা জন্মাতে থাকে । তার মা বাবা কে কষ্টের কথা বলতে পারে না।কেটে যায় আরো কিছ দিন, সে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে তার 1st prof exam চলে আসে।সোনিয়া exam দিতে পারে না,sleeping pill খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছিল। এদিকে মেয়ে Doctor হবে মা বাবার স্বপ্ন। সোনিয়া বেচে থাকার কোন অর্থ খুজে পায় না। সোনিয়া তার নামের পাশে শুধু শিহাবের নামটা দেখতে চেয়েছিল। বাচতে হলে শিহাবকে ভুলে যেতে হত,আর শিহাবকে ভুলতে হলে শিহাবকে Hate করতে হত।কিন্তু নীরকে এত ভালবাসত যে শিহাবকে Hate করার কথা কল্পনাই করতে পারত না।আর সে যে শিহাবকে মরনের আগ পর্যন্ত স্বামী মেনেছে। সোনিয়ার ভালবাসা যে বাজ্জিক সৌন্দর্যর কাছে হেরে যাওয়া সস্থা ভালবাসা ছিলনা। সোনিয়ার জীবনে নীর থেকে গেছে অস্মাপ্ত প্রতিক্ষা হয়ে। অবশেষে সোনিয়া suicide করে।হয়ত এতে নীরের ক্ষতি হয়নি ক্ষতি হয়েছে সোনিয়ার পরিবারের।এক মাত্র মেয়ে কে হারিয়ে মা বাবা পাগল প্রায়। সোনিয়া মা বাবাকে অনেক ভালবাসত ,তবু তাদের ছেড়ে চলে যেতে হল। সোনিয়া সহ্য করতে পারেনি তার ভালবাসার অপমান...।। গল্পটি সোনিয়ার ডায়েরিতে লিখা ছিল,তার বন্ধুর দ্বারা প্রকাশ করা হল।। আসা করি কেউ বাজে কমেন্ড করবেন না...।

বুধবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১২

একাকীত্ব জীবন

LOVE
::: একটি অসামপ্ত ভালবাসার গল্প :::
একটা ছেলে একটা মেয়েকে খুব ভালোবাসতো।
মেয়েটাও ছেলেটাকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো।
কারো বাসার থেকে কোন বাধা ছিল না।
তারা মোবাইলে অনেক কথা বলতো।
বলতে গেলে তারা মোবাইলের কল্যাণেসবসময় একসাথেই থাকতো।
কে কখন কি করছে, কোথায় যাচ্ছে, কি খাচ্ছে সব মোবাইলে একজন আরেকজনকেসাথে সাথে জানাতো!
কেউ কখনো কারো উপর রাগ কিংবা অভিমান করতো না।
আইসক্রিম ছিল মেয়েটার সবচাইতে প্রিয়।
তারা যখন এক
সাথে কোথাও ঘুরতে যেতো তখন তাদের খাওয়ার মেনুতে থাকতো প্রতিদিনই মেয়েটার পছন্দের আইটেম আইসক্রিম, কিন্তু ছেলেটার কোন জিনিসটা প্রিয় ছিল,
মেয়েটা কখনো সেটা জানতে চাইনি।
এতে ছেলেটার কোন অভিযোগ ছিলনা।
তারা দুজনে মিলে তাদের বাচ্চার নামও ঠিক করে রেখেছিল।
ছেলে হলে স্বপ্ন আর মেয়ে হলে আইসক্রিম!
নাম দুটিই ছিল মেয়েটার পছন্দের, ছেলেটা এতে কোন দ্বিমত করেনি।
শুধু বলেছিল, যাও, আইসক্রিম আবার কারো নাম হয় নাকি?
মেয়েটা বলল হয়না কিন্তু আমার মেয়ের নাম এটাই হবে।
মেয়েটা সবকিছুই তার বড় আপুর সাথে শেয়ার করতো।
একদিন ছেলেটা একা একা বাইক নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিল।
তখন মেয়েটা ফোন দিলে ছেলেটা রিসিভ করে।
জান, কি করছো? এইতো বাইক নিয়ে একাএকা ঘুরতে বের হয়েছি।
মেয়েটা বলল একা কোথায়, মনে করো আমি তোমার সাথেই আছি।
আমাকে প্রমিস করো এখন থেকে যেখানেই যাবে আমাকে সাথে নিবে।
আচ্ছা বাবা নিবো।
হচ্ছিল এই ধরনের আরও আবেগি কণ্ঠ।
হঠাৎ একটা ট্রাক কন্ট্রোল হারিয়ে বাইক সহ ছেলেটাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
ভয়ংকর একটা শব্দে ফোনের লাইনটা কেটে যায়।
মেয়েটা অস্থির হয়ে ফোন দিতে থাকে কিন্তু সংযোগ পায় না।
ততক্ষনে এক্সিডেন্টের জায়গায় অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়।
হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যায় ছেলেটা।
মেয়েটা ওদিকে অস্তির হয়ে যায়, আপুকে সক্তকরে জড়িয়ে ধরে থাকে।
ছেলেটার বাসায় ফোন দেয় তার আপু, কিন্তু কেউ রিসিভ করে না।
অনেকক্ষণ ধরে ফোন দেওয়ার পরে ওপাশ থেকে ফোন রিসিভ করে একজন জানায় ছেলেটা রোড- এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
মেয়েটা সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়।
কেউ তাকে সেদিন আর কথা বলাতে পারলো না।
পরদিন ছেলেটার আম্মুকে খবর দিয়েআনা হয় মেয়েটার বাসায়।
তাকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কাঁদলো মেয়েটা।
তবে মেয়েটাকে কিছু খাওয়ানো গেলো না।
সেদিন রাত্রে মেয়েটা শেষ একটা কথা তার আপুকে বলল, আপু আমার একটা কথা রাখবি?
তোর মেয়ে হলে মেয়েটার নাম আইসক্রিম রাখিস।
তারপর?
তারপর মেয়েটা তার কথা রাখতে ছেলেটার পাড়ি জমানো পথ ধরে পাড়ি জমায়।
হয়তো তারা এখন একজোড়া সাদা বক, অথবা গাঙচিল হয়ে আজও উড়ে বেড়ায় তাদের অপূর্ণ ভালোবাসাটাকে পূর্ণতা দিতে!

:( অশ্রু ভেজা চিঠি :(♥


একটা ছেলে প্রতিদিন রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকত আর এক নজরে তাকিয়ে থেকে একটা মেয়েকে দেখতো। কিন্তু মেয়েটা তাকে পাত্তা দিত না । একবছর পরে মেয়েটা হঠাত্‍ ছেলেটার দিকে একবার তাকিয়ে তাকালো আর দেখতে পেল চোখের নিচে একটা ক
ালো দাগ
পরে গেছে । আর চেহারায় একটা রোগা রোগা ভাব। ঐদিন রাতে মেয়টার চোখে ঘুম আসলো না সারারাত শুধু এই ভেবেছিল যে ছেলেটা আমাকে এত ভালবাসে যে চেহারায় রোগা ভাব ধরে গেছে তবুও আমায় ভূলতে পারছে না বারে বারে প্রতিদিন ছুটে আসছে?
এ কি আমি সত্যি দেখছি নাকি কল্পনা? যদি সত্যি হয় তবে কি করব এখন আমি? যে আমাকে এত ভালবাসে তাকে কি করে কষ্ট দেবআমি? তারপর মেয়টা রাতের ঘুম হারাম করে ছেলেটাকে ভালবাসতেলাগলো । পরদিন মেয়েটা যখন বুকভরা ভালবাসা নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে তখন ছেলেটার দিকে দূর থেকে তাকাতে লাগল যখন ছেলেটা মেয়টার চোখের দিকে তাকালো তখন মেয়েটা মিস্টি একটা হাসি দিয়ে বুঝিয়ে দিল আমি তোমায় ভালবাসি।
কিন্তু ছেলেটা একটুও হাসলো না বরং ছেলেটার চোখ থেকে ঝর্নার মতো পানি ঝড়তে লাগলো
তখন মেয়েটা ভাবল এ হয়তো সুখেরকান্না তাই আবার চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিল তোমাকে আমি আর কাঁদতে দেব না।
পরদিন মেয়েটা রাস্তা দিয়ে আসছে আর দূর থেকে উঁকি দিয়ে ছেলেটাকে দেখার চেষ্টা করছে কিন্তু দেখতে পেল না । তখন মেয়েটার খুব রাগ হলো । এভাবে আরো একদিন কেটে গেল মেয়েটা অনেক কষ্ট পেতে লাগল। ৩য় দিন মেয়েটা রাস্তা দিয়ে আসছে আর সেই যায়গায় তাকিয়ে আছে ছেলেটি আগের মতো তার অপেক্ষায় আছে কি না দেখতে। কিন্তু দেখতে পেল না । তখন মেয়েটা সেই যায়গায় গিয়ে দাড়ালো যেখানে দাড়িয়ে ছেলেটাতাকে দেখতো। তখন একাকিত্ব মেয়েটার চোখে এক বিন্দু অশ্রু এনে দিল । গাল বেয়ে এক ফোটা চোখের পানি টপ করে নিচে পড়লো তখন মেয়েটা নিচের দিকে তাকিয়ে দেখল তার একফোটা অশ্রুভেজা একটা কাগজ আর তাতে যেন কিছু লেখা আছে।
তখন মেয়েটা চিঠিটা উঠিয়ে পড়তে লাগল
.
.
.
.
.
আমি তোমার ঠোটের হাসি দেখে বুঝে গেছি তুমি আমায় ভালবেসে ফেলেছো। আমি তোমার চোখের ইশারায় বুঝে গেছি তুমি আর আমায় কাঁদতে দেবে না।
সেদিনের কান্নাটা অনেক সুখেরছিল যে তুমি আমায় একমুহুর্তের জন্যে হলেও মন উজার করে ভালবেসেছো। আবার এই ভেবে কেঁদেছি যে আমি তোমায় হাতের কাছে পেয়েও ছুঁতে পারলাম না।
কিন্তু যে আমাকে এত ভালবাসে যে আমার চোখের কান্না মুছে দিয়েছে তাকে ২ দিনের জন্য কিভাবে সারা জীবন কষ্ট দেবো? তাই আর ২ দিনের জন্যে আর আমার প্রতি তোমার আবেগ বাড়াতে আসিনি। কারন তুমি আমাকে যত ভালবাসবে তত কাঁদবে তাই চেয়েছি তোমার কান্নাটা কমাতে
জানি সব শুনে প্রশ্ন করবে কেনএত কথা বলছি?
তুমিই বলো তুমি কি কাঁদতে না যদি শুনতে আমার ক্যান্সার হয়েছে?
তুমি কি কাঁদতে না যদি আমায় ভালবাসার ২ দিন পরে তোমাকে ফেলে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতাম?
সত্যি তুমি অনেক দেরি করে ফেলেছ । ডাক্তার বলেছে তুমিই নাকি আমায় আগলে ধরে রাখতে পারতে কোথাও যেতে দিতে না। যদি আমায় প্রথমে ভালবাসতে।
সত্যি তুমি অনেক দেরি করে ফেলেছ। কষ্ট পেও না হয়তো এপারে আমরা এক হতে পারিনি। আমার ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থেকো তবে নিশ্চই ওপারে দিয়ে আবার আমরা এক হতে পারব। ভাল থেকো ।
ইতি
তোমার আলো যাকে ছুতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছো।
[বিদ্রঃ প্রকৃত ভালবাসাকে চিনতে কখনো দেড়ি করবেন না]
$> এমন ১জনের হাত ধর,
যে হাজার কষ্টের মাজেও তোমার হাত
ছারবেনা।
$> এমন কাওকে ভালবাস,
যে তোমায় ছারা আর কাওকে চাইবেনা...
~নিপুন~